ভৌত রাশি এবং পরিমাপ, ক্লাস আজকের ক্লাসের আলোচনার বিষয়। ভৌত রাশি এবং পরিমাপ [ Physical quantities and measurements ] এসএসসি (নবম – দশম শ্রেণী) – পদার্থ বিজ্ঞান [ SSC (Class 9-10) – Physics ] এর ১ম অধ্যায় [ Chapter 1 ] এ পড়ানো হয় |
ভৌত রাশি এবং পরিমাপ, ক্লাস
ভৌত জগতে (Physical World) যা কিছু পরিমাপ করা যায়, তাকে ভৌত রাশি (ইংরেজি: Physical quantity) বলে। আপনি এখন একটি কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে এ নিবন্ধটি পড়ছেন, বসে আছেন কোন চেয়ার বা টেবিলে, কোন বিষয়ে নোট নেবার জন্য হাতের কাছে রেখেছেন কাগজ-কলম। এমনিভাবে, আপনার চারপাশ ঘিরে রয়েছে হাজারো জড় বস্তু। এইসব জড়বস্তু নিয়েই গঠিত আমাদের এই ভৌত জগত। এই জগতে বেশ কিছু বিষয় আছে, যা সাংখ্যিকভাবে পরিমাপ করা যায়।
আবার কিছু বিষয় আছে যা সাংখ্যিকভাবে পরিমাপ করা যায় না। যা কিছু পরিমাপ করা যায়, যার পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা দিয়ে নির্দেশ করা যায়, পদার্থবিজ্ঞানে সেটিই রাশি হিসেবে পরিগণিত হয়। যেমনঃ আপনার ওজন, আপনার উচ্চতা, বাসার দেয়াল ঘড়িতে নির্দেশিত সময় ইত্যাদি। এগুলো পরিমাপ করা যায়।
অন্যদিকে, দুঃখ, কষ্ট, ব্যাথা, আনন্দ, হর্ষ ইত্যাদি বিষয় কখনো সংখ্যা দিয়ে সূচিত করা যায় না। আপনি কখনো বলেন না যে, আজ আপনি খুব আনন্দিত আর আপনার আনন্দের পরিমাণ ১০০। যেহেতু এই বিষয়গুলো সাংখ্যিকভাবে বর্ণনা করা যায় না, তাই এগুলো রাশি নয়।তাই এগুলো কে বলে অপরিমেয় ভৌতরাশি।
রাশির প্রকারভেদ
পদার্থবিজ্ঞানে রাশিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। মৌলিকত্বের দিক থেকে রাশি দুই প্রকার।
যথাঃ
১। মৌলিক রাশি
২। লব্ধ রাশি

মৌলিক রাশি
যে সকল রাশি স্বাধীন বা নিরপেক্ষ অন্য রাশির উপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য রাশি এদের উপর নির্ভর করে তাদেরকে মৌলিক রাশি বলে। যেমন: দৈর্ঘ্য, ভর, সময়, তাপমাত্রা ইত্যাদি।
এ পর্যন্ত সাতটি রাশিকে বিজ্ঞানীদের সর্বসম্মতিতে মৌলিক রাশি হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এগুলো হলঃ
ভর, দৈর্ঘ্য, সময়, তাপমাত্রা, তড়িৎ প্রবাহ, দীপন তীব্রতা, পদার্থের পরিমাণ। ১৯৬০ সালে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞানীদের যৌথ সম্মেলনে এ সাতটি রাশিকে মৌলিক রাশি হিসেবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
লব্ধ রাশি
যে সকল রাশি মৌলিক রাশির উপর নির্ভরশীল, তাদেরকে লব্ধ রাশি বলে। যেমনঃ বেগ, ত্বরণ, বল ইত্যাদি।
বিভিন্ন প্রকার মৌলিক রাশির যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় লব্ধ রাশিগুলো লাভ করা যায় বলে এদেরকে যৌগিক রাশিও বলা হয়। যেমনঃ বল একটি লব্ধ রাশি বা যৌগিক রাশি।
কেননা, বল= ভর x ত্বরণ = ভরx সরণ/ (সময় x সময়)। এখান থেকে বোঝা যায় যে, ভর, সরণ (দৈর্ঘ্য) ও সময় এই তিনটি মৌলিক রাশিকে গুণ ও ভাগ করে অবশেষে ‘বল’ রাশিটি পাওয়া গেছে। তাই, বল একটি লব্ধ রাশি।
আবার, দিক নির্দেশের ভিত্তিতে রাশি দুই প্রকার, যথাঃ ১। স্কেলার রাশি বা অদিক রাশি এবং ২। ভেক্টর রাশি বা সদিক রাশি।
ভৌত রাশি এবং পরিমাপ, ক্লাস বিস্তারিত দেখুন ঃ
আরও দেখুনঃ